স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের শেখ হাসিনা সড়ক সংলগ্ন লইছকা বিলের পাশের একটি নদীতে নৌ-দূর্ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার পর্যন্ত পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন।
শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার লামা গেরাগাঁও গ্রামের বাসিন্দ ও নিহত রৌশনারা বেগমের ছেলে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় ৭ জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী সেলিম মিয়ার মা রৌশনারা, চাচি রিনা বেগম ওরফে মনজু, আপন বোন ফরিদা ও ভাগ্নি মুন্নি আক্তার এ নৌ-দূর্ঘটনায় মারা যান।
মামলার ৭ জন আসামীর মধ্যে পুলিশ ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সরাইল উপজেলার পানিশ্বরের বাসিন্দা ও বালুবাহী ট্রলারের চালক জমির মিয়া (৩৩), রাসেল মিয়া (২২), খোকন মিয়া (২২), সোলাইমান মিয়া ওরফে সোনা মিয়া (৫২), ও মিষ্টু মিয়া (৬০)। এদের মধ্যে জমির, রাসেল ও খোকন মিয়া বালুবাহী ট্রলারের চালক ও শ্রমিক এবং সোলাইমান ওরফে সোনা মিয়া যাত্রীবাহী নৌকার মালিক ও মিষ্টু মিয়াও চম্পকনগর নৌকাঘাটের আরেকটি নৌকার মালিক। বাকী দুজনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নৌ-দূর্ঘটনার পর ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহতরা হলেন, ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্না বেগম (৪৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের বড় পুকুরপাড় গ্রামের সোলেমান মুন্সির স্ত্রী রুবিনা বেগম (৪৫), চম্পকনগরের জামালপুর গ্রামের প্রবাসী জহিরুল হক ভুইয়ার ছেলে ও মেডিকেল শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহ মামুন (২০), জেলা শহরের উত্তর পৈরতলা গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজল বেগম (৪০) , একই বাড়ির শিশু সন্তান নাসরা মনি (০৩), একই এলাকার আবু সাঈদ মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫), পৌর শহরের দাতিয়ারা এলাকার মুরাদ মিয়ার ছেলে তানভীর (০৮), সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার মেয়ে তাকুয়া (০৮), একই ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম মিয়া (০৭), নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটাপাড়া গ্রামের জারু মিয়ার মেয়ে সদ্য বিবাহিত মোসাঃ সুমি আক্তার (১৮), বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের লামা গেরাগাঁও গ্রামের জজ মিযার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), মেয়ে মুন্নি আক্তার (১০), ফরিদার মা রৌশনারা (৬৫), চাচি রিনা বেগম ওরফে মনজু (৫৫), একই ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মিনারা বেগম (৫০), পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর শীলবাড়ির পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস (৩০) ও তার মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (০২)। ১৭ টি মরদেহের নাম পরিচয় জানা গেলেও বাকীদের পরিচয় জানা যায়নি।
বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে জানান, নৌ-দূর্ঘটনায় ইতিমধ্যে আমরা ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি এবং বালুবাহী ট্রলারটিকেও আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, শনিবার একই পরিবারের নিহত ৪ জনের এক স্বজন সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply